শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

ইলিশের আশায় বুক বাধছে নিম্ন আয়ের মানুষ

ইলিশের আশায় বুক বাধছে নিম্ন আয়ের মানুষ

মোঃ বশির হোসেন: ইলিশের নাম শুনলেই জ্বীবে পানি আসে না এমন মানুষ হয়তো কমই খুজে পাওয়া যাবে। শর্শ্বে ইলিশ কিংবা ভাজা যে ভাবেই খাবেন স্বাদে অতুলনীয় এ মাছ। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হলেও বাংলাদেশীদের কাছে তা যেন সোনার হরিন। দেশে থেকে বহু বছর সুস্বাধু এ মাছের স্বাদ নিতে পারেননি নিম্ন ও মধ্যবিক্তের অনেকেই।

এ জন্য ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানীকেই দুষছেন সাধারন মানুষ। দেশের কথা চিন্তা না করে প্রতিবছর কয়েক হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানী হওয়ায় দেশীও বাজারে এর দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় তা নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায়। গত বছর দূর্গা পূর্জা উপলক্ষে আওয়ামীলীগ সরকার ভারত সরকারকে উপহার হিসেবে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠান। তখন দেশী বাজারের চেয়ে ভারতের বাজারে ইলিশের দাম কম ছিলো। এ সময় দেশী বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ গড়ে ১৫০০ শত থেকে ২০০০ হাজার টাকায় ব্রিক্রি হয়েছে। যা তখন সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এছাড়া বাজার সিন্ডিকেটের কারণে এখনো বাজারে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় এবং ১ কেজি ওজনের মাছ প্রতি কেজি ১৫০০ থেকে ১৮০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত ৫ ই আগষ্ট গণঅভুথ্যানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবর্তন হওয়ায় সাধারণ মানুষ আবার ইলিশের আশায় বুক বাধছেন। নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এর ঘোষণার মাধ্যমে নতুন করে বাঙ্গালীর ঘরে,ঘরে আবার ইলিশ নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে। তারা মনে করেন এ বছর ইলিশ রপ্তানী বন্ধ হলে আবার নিম্ন ও মধ্যবিক্তের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে ইলিশ। দীর্ঘদিন ইলিশের স্বাদ বঞ্চিত মানুষ আবার ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে। এ ব্যাপারে মৎস ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার গত (১১ আগষ্ট) সাংবাদিকদের জানান, জনগন যাতে ইলিশ মাছ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। আগে জনগন পাবে তারপর রপ্তানী। দেশের চাহিদা পূরণের আগে ইলিশ রপ্তানী করা হবে না। তার এ ঘোষণার মাধ্যমে আবারও দেশে ইলিশের সোনালী যুগ ফিরে আসবে বলে সবাই মনে করেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |